কলমকথা ডেস্কঃ

যশোর জেলার অন্তর্গত মনিরামপুর থানাধীন সুদের জন্য বহুল আলোচিত দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নে চরমভাবে জেকে বসেছে সুদের ব্যবসা। যেটা সমাজের জন্য খুবই ভয়ঙ্কর ব্যাধি ক্যান্সারের মতো।

তেমনই একজন ভুক্তভোগী আব্দুল জলিল, পিতা মৃত আফাজ আলী গাজী সাং শ্যামনগর। শ্যামনগর তেমাথা মোড়েই তার ছোট একটা চায়ের দোকান আছে।দুই ছেলে ও ঘরের স্ত্রীকে নিয়ে কোনো রকম জীবন-যাপন করেন তিনি।

তিনি এক সাক্ষাৎকারে ‘কলমকথা’ কে জানান বিশেষ আর্থিক সংকটে পড়ে ওই একই (শ্যামনগর) গ্রামের মৃত সুনীল শীল এর ছেলে শ্যামল শীল (সমর) এর কাছ থেকে মাত্র ১০(দশ)হাজার টাকা সুদে নেয়। তার জন্য তাকে সপ্তাহে এক (০১)হাজার টাকা সুদ বা লাভ দিতে হয়।

এইভাবে প্রায় ৩/৪ মাসে ১২/১৬ হাজার টাকা দেওয়ার পরে আব্দুল জলিল খুবই আর্থিক সংকটে পড়ে প্রায় ৪/৫ মাস লাভের টাকা দিতে পারিনি। পরে পাশের একটা সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে সেই মূল টাকা ১০(দশ) হাজার টাকা ফেরত দিয়ে খুব অনুরোধ করে বলে আমি আর তোমাকে কোনো লাভের টাকা দিতে পারবো না। বলে মূল টাকা ফেরত দিয়ে আসে আব্দুল জলিল।

কিন্তু হঠাৎ করে শ্যামল শীল গত ২৮/০২/২০২২ পর্যন্ত মূল টাকা বাদে বকেয়া সুদের টাকার সুদ (জ্যামিতিক হার) হিসাব করে মোট ৩৫(পঁয়ত্রিশ) হাজার টাকা পাবে বলে মনিরামপুর থানায় একটা অভিযোগ করেন। অভিযোগ তদন্তে আসেন মনিরামপুর থানার এসআই।

এমতাবস্থায় আব্দুল জলিল অসহায়/দিশেহারা হয়ে তার নিজের ও পরিবারের জন্য একটা সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেছেন সচেতন মহলের প্রতি।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শ্যামল শীল (সমর) দীর্ঘদিন যাবত সমস্ত ইউনিয়ন ব্যাপী এইভাবে অসহায় হতদরিদ্রদের অভাবের সুযোগ নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে সুদ নামের এই নির্যাতনের স্টিমরোলার।

সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে সুদ নামের এই ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের শিকার হয়ে গৃহহীন হওয়া, ভিটে ছাড়া, দেশত্যাগ, আত্মহত্যা, এমনকি সুদের টাকা শোধ করতে না পেরে নিজের স্ত্রীকে ঋণদাতার হাতে তুলে দেওয়ারও নজির  রয়েছে।

তাই এইসকল ঋণদাতাদের(সুদ ব্যাবসায়ী) দৃষ্টান্ত মূলক ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য সকল সচেতন মহল, সাংবাদিক, পুলিশ প্রশাসন সবাইকে এগিয়ে এই সুদকে সমূলে উৎপাটনে ভূমিকা রাখার আহ্বান রইলো।

সত্য ঘটনা অবলম্বনে #কলমকথা